সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১
মাসুদ রানা।।
বিএনপির পূর্ব ঘোষনা থাকায় বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া উত্তর ও দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কায় অংশ নিচ্ছেন দুই প্রার্থী । উলানিয়া দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মোশারেফ হোসেন মশু ও উত্তর ইউপিতে ফয়সাল চৌধুরী অংশ নিচ্ছেন । এই দুই প্রার্থীর ক্ষেত্রে বিএপির হাই কমান্ড‘র পক্ষ থেকে নির্বাচনে লড়াই করার তাগিদ রয়েছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। কারন বিএনপি সারাদেশে যখন ইউপি নির্বাচন বয়কট করার সিদ্বান্ত নেন তার আগের ধাপের ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কায় অংশ নিয়েছিলেন তারা। যেহেতু চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিতাদেশ দিয়ে বন্ধ রাখা ওই দুটি পরিষদে নির্বাচন কমিশন রবিবার ফের নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেওয়ায় বিএনপির হাই কমান্ড তাদের দলের এই দুই প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। তাই তাদের দলের স্থানীয় নেতা কর্মিদের মাঠে থেকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আহবান রয়েছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি এবং উলানিয় ইউনিয়নকে উত্তর দক্ষিনে দুই ভাগে বিভক্ত করাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে স্থানীয়দের রিটের প্রেক্ষিতে এই দুটি ইউপিতে গেল ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। আর ওই ইউপি দুটিতে ভোট হওয়ার কথা ছিলো ১০ ডিসেম্বর । দুই মাস পরে ফের গত রবিবার (০৬-০২-২০২২ইং) নির্বাচন কমিশন ১০ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন অনুষ্টিত করার ঘোষনা দেন। ওই আদেশে বলা হয়েছে যেখান থেকে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে, সেখান থেকেই নির্বাচন প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। অর্থাৎ সেই সময়ে যারা যে মার্কায় প্রার্থী ছিলেন তারা সেই মার্কার প্রার্থী বহাল আছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায় ,দক্ষিন ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কায় মিলন চৌধুরী,ধানের শীষে কেন্দ্রিও ছাত্রদলের সাবেক সহ-সহম্পাদ মোশারেফ হোসেন মশু ও সতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন রুমা বেগম। পাশাপাশি উত্তর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ও নুর ইসলাম জামাল, ধানের শীষে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী এবং আনারস মার্কায় সতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন নুরুল ইসলাম মিঠু। সংগত কারনে ওই দুইটি ইউপির জন্য নতুন ভাবে তফসিল ঘোষনা হচ্ছে না । পূর্বের মার্কাতেই নিয়েই চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বর প্রার্থীরা বহাল আছেন। নতুন সিদ্বান্তনুযায়ী আগামি ১০ ফেব্রুয়ারী ভোটাররা প্রার্থীদের ভোট দিতে যাবেন।
বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: আযাদ এমনটিই নিশ্চত করেন এ প্রতিবেদককে। এ বিষয়ে দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের ধানের শীষ প্রার্থী কেন্দ্রিও ছাত্রদলের সাবেক সহ-সহম্পাদ মোশারেফ হোসেন মশু জানান, প্রথম যখন তাদের ইউনিয়নে নির্বাচন ঘোষনা হয়েছিল তখন বিএনপির হাই কমান্ড তাদের ধানের শীষ মার্কায় মনোনিত করেন। পরে একটি রিটের কারনে নির্বাচন স্থগিত হয়। এখন আবার কমিশন নির্বাচনের ঘোষনা দিয়েছেন। তাই আমরা দলীয় প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহন করছি। দল যখন সারাদেশে ইউপি নির্বাচন বয়কট করেছে তখন সেটা ছিল পরের ধাপের ইউপি নির্বাচনের সময়কালীন সিদ্বান্ত। এখন নির্বাচন থেকে সরে আসবো কিনা তার কোন চিঠি বা মৌখিক আদেশ হাতে পাইনি। এ কারনে তাদের এই দুজনের ক্ষেত্রে আগের সিদ্বান্ত বহাল আছে বলে মনে করছেন ধানের শীষ মার্কার এই দুই প্রার্থী। সুষ্টু নির্বাচন হলে তারা বিজয়ী হবেন মনে করছেন তারা।
উত্তর উলানিয়া ইউপির ধানের শীষ অপর প্রার্থী ফয়সাল চৌধুরী জানান, দল এখনো নতুন কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। যে কারনে আমাদের প্রার্থীতা বহাল আছে। যদি ধানের শীষ মার্কা থেকে নির্বাচন বয়কটের নতুন কোন সিদ্ধান্ত আসে তাহলে নির্বাচন থেকে সরে আসবো।
এবিষয়ে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ বিএম মুকুল জানান, যেহেতু দল থেকে নতুন কোন সিদ্ধান্ত দেননি তাই নিয়ম অনুযায়ী হাই কমান্ডের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকার কথা। ধানের শীষ মার্কায় নিয়ে আমাদের দলের দুই প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসবেন কিনা এখনো নতুন সিদ্ধান্ত হাই কমান্ড থেকে আমাদের জানাননি।